সমাসের শ্রেণীবিভাগ ---বহুব্রীহি সমাস ---উপপর্ব (গ )
সমাসের শ্রেণীবিভাগ--বহুব্রীহি সমাস--উপপর্ব (গ )
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস :- বহুব্রীহি সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার পদের লোপ হলে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে ।
এই জাতীয় বহুব্রীহি সমাসে একটি উপমান পদ থাকে বলে একে উপমাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে ।
যথা :- চাঁদের ন্যায় বদন যার = চাঁদবদন ;
মীনের ন্যায় অক্ষি যার (স্ত্রী ) = মীনাক্ষী ;
কমলের মতো অক্ষি যার = কমলাক্ষ / (স্ত্রী )
কমলাক্ষী ;
মৃগের নয়নের ন্যায় চঞ্চল নয়ন যার = মৃগনয়না ;
ভাইয়ের কপালে কল্যাণসূচক ফোঁটা দেওয়ার যে অনুষ্ঠান = ভাইফোঁটা ;
চিরুনির দাঁতের মতো দাঁত যার = চিরুনদাঁতি ;
এক বুক গভীরতা যেখানে = একবুক (জল ) ; টিয়ার ঠোঁটের মতো রঙ যার =টিয়াঠোঁটী; গোঁফে খেজুর পড়ে রয়েছে যার =গোঁফখেজুরে ; চাঁদ বদন যার ( স্ত্রী ) = চাঁদবদনী ---ইত্যাদি ।
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস :-পরস্পর একজাতীয় ক্রিয়ার বিনিময় বুঝালে একই বিশেষ্যের দ্বিত্বের দ্বারা যে বহুব্রীহি সমাস হয়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে ।যথা :-হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি ;
কানে কানে যে পরামর্শ = কানাকানি ;
চুলে চুলে আকর্ষণ পূর্বক যে যুদ্ধ = চুলোচুলি ;
দন্ডে দন্ডে যে যুদ্ধ = দন্ডাদন্ডি ;
পরস্পরকে কাটা = কাটাকাটি ;
পরস্পরের মধ্যে আড়ি = আড়াআড়ি ;
পরস্পরকে টানা = টানাটানি ;
গলায় গলায় যে মিল = গলাগলি ;
কোলে কোলে যে মিলন = কোলাকুলি;
হেসে হেসে যে আলাপ = হাসাহাসি ;
পরস্পর সরা = সরাসরি -----ইত্যাদি ।
সহার্থক বহুব্রীহি সমাস :- পূর্বপদ বিশেষ্যের সহিত সহার্থক উত্তরপদের বহুব্রীহি সমাস হলে, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে ।
যথা :- লজ্জার সহিত বর্তমান = সলজ্জ ;
হিংসার সহিত বর্তমান = সহিংস ;
পুত্রের সহিত বর্তমান = সপুত্র ;
প্রতিভার সহিত বর্তমান = সপ্রতিভ;
অবধানের সহিত বিদ্যমান = সাবধান ;
চরাচরের সহিত বিদ্যমান = সচরাচর ----ইত্যাদি ।
সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস :- যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদটি সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে, তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে ।
যথা :- আটটি চাল যার = আটচালা ;
পঞ্চ আনন্দ যার = পঞ্চানন ;
ত্রি লোচন যার = ত্রিলোচন ;
দুইটি নল যার = দোনলা ;
একটি ডাল যার = একডালিয়া > একডেলে ;
একদিকে চোখ যার = একচোখো ;
একদিকে রোখ যার = একরোখা ;
সহস্র লোচন যার = সহস্রলোচন ---ইত্যাদি ।
No comments
THANKS.