সমাসের শ্রেণীবিভাগ ----কর্মধারয় সমাস ----উপপর্ব ( খ )
সমাসের শ্রেণীবিভাগ ---কর্মধারয় ----উপপর্ব( খ )
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস :- যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার পদটি লোপ পেলে তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে ।
যেমন :- পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন = পলান্ন >পোলাও ;
( ' মিশ্রিত ' পদটি লোপ পেয়েছে )
অষ্ট অধিক দশ = অষ্টাদশ ;
( ' অধিক ' পদটি লোপ পেয়েছে )
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন ;
(' চিহ্নিত ' পদটি লোপ পেয়েছে )
অনুরূপ ভাবে ----বরের অনুগামী যাত্রী = বরযাত্রী;
ছায়া - দানকারী তরু = ছায়াতরু ;
ছাত্র থাকাকালীন জীবন = ছাত্রজীবন ;
(শ্বশুরের )ঘরে পালিত জামাই = ঘরজামাই ; আয়ুর্বিষয়ক বেদ = আয়ুর্বেদ ;
পথে অনুষ্ঠিত সভা = পথসভা ;
আকাশে প্রদত্ত প্রদীপ = আকাশপ্রদীপ;
মৌ-সঞ্চয়কারী মাছি = মৌমাছি ;
জামাইয়ের কল্যাণার্থে ষষ্ঠী = জামাইষষ্ঠী;
সন্ধ্যাকালীন আহ্নিক = সন্ধ্যাহ্নিক ;
সিঁদুর রাখিবার কৌটা = সিঁদুরকৌটা ;
এক অধিক দশ = একাদশ ;
হাতে পরিবার ঘড়ি = হাতঘড়ি ;
হাঁটু পরিমাণ জল = হাঁটুজল ;
হাত দিয়া চালানো পাখা = হাতপাখা;
গোবর-মিশ্রিত জল = গোবরজল ;
নকশা-চিত্রিত বড়ি = নকশা -বড়ি ।
বিশেষ স্মরণীয় :-তৎপুরুষ সমাসের ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার যে অংশটি লোপ পায় তাহা বিভক্তি চিহ্ন অথবা বিভক্তিস্থানীয় অনুসর্গ । তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদের বিভক্তিচিহ্ন যেমন লোপ পায়
তেমনি বিভক্তি স্থানীয় অনুসর্গের ও লোপ হয় ।
যেমন :-পাঠশালা হইতে পলায়ন = "পাঠশালা-পলায়ন"।
( এখানে ব্যাসবাক্যে "হইতে " অপাদান -তৎপুরুষের
অনুসর্গের লোপ পেয়েছে ।)
আবার ---রথকে দেখা = "রথদেখা "।
( এখানে ব্যাসবাক্যে " রথ +কে "= রথকে , "কে "
কর্ম-তৎপুরুষ সমাসের বিভক্তিচিহ্নটি লুপ্ত হয়েছে ।)
( তাহলে দেখা গেল বিভক্তি স্থানীয় অনুসর্গের লোপ, বা বিভক্তি -চিহ্নের লোপ হয়েছে যা তৎপুরুষ সমাস বলে গণ্য হবে ।
কিন্তু মধ্যপদলোপী কর্মধারয়সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার এক বা একাধিক পদের লোপ পেয়েছে ।
যেমন :- বাক্যের মাধ্যমে আলাপ =" বাক্যালাপ "।
দ্বি অধিক দশ = " দ্বাদশ "।
( বাক্য-দুটিতে " মাধ্যমে , অধিক " শব্দ-দুটি পদ ।)
( কিন্তু অনুসর্গ নয় )। তাই এগুলি মধ্যপদলোপী
কর্মধারয় সমাস ।
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস :- যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার পদটি লোপ পেলে তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে ।
যেমন :- পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন = পলান্ন >পোলাও ;
( ' মিশ্রিত ' পদটি লোপ পেয়েছে )
অষ্ট অধিক দশ = অষ্টাদশ ;
( ' অধিক ' পদটি লোপ পেয়েছে )
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন ;
(' চিহ্নিত ' পদটি লোপ পেয়েছে )
অনুরূপ ভাবে ----বরের অনুগামী যাত্রী = বরযাত্রী;
ছায়া - দানকারী তরু = ছায়াতরু ;
ছাত্র থাকাকালীন জীবন = ছাত্রজীবন ;
(শ্বশুরের )ঘরে পালিত জামাই = ঘরজামাই ; আয়ুর্বিষয়ক বেদ = আয়ুর্বেদ ;
পথে অনুষ্ঠিত সভা = পথসভা ;
আকাশে প্রদত্ত প্রদীপ = আকাশপ্রদীপ;
মৌ-সঞ্চয়কারী মাছি = মৌমাছি ;
জামাইয়ের কল্যাণার্থে ষষ্ঠী = জামাইষষ্ঠী;
সন্ধ্যাকালীন আহ্নিক = সন্ধ্যাহ্নিক ;
সিঁদুর রাখিবার কৌটা = সিঁদুরকৌটা ;
এক অধিক দশ = একাদশ ;
হাতে পরিবার ঘড়ি = হাতঘড়ি ;
হাঁটু পরিমাণ জল = হাঁটুজল ;
হাত দিয়া চালানো পাখা = হাতপাখা;
গোবর-মিশ্রিত জল = গোবরজল ;
নকশা-চিত্রিত বড়ি = নকশা -বড়ি ।
বিশেষ স্মরণীয় :-তৎপুরুষ সমাসের ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার যে অংশটি লোপ পায় তাহা বিভক্তি চিহ্ন অথবা বিভক্তিস্থানীয় অনুসর্গ । তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদের বিভক্তিচিহ্ন যেমন লোপ পায়
তেমনি বিভক্তি স্থানীয় অনুসর্গের ও লোপ হয় ।
যেমন :-পাঠশালা হইতে পলায়ন = "পাঠশালা-পলায়ন"।
( এখানে ব্যাসবাক্যে "হইতে " অপাদান -তৎপুরুষের
অনুসর্গের লোপ পেয়েছে ।)
আবার ---রথকে দেখা = "রথদেখা "।
( এখানে ব্যাসবাক্যে " রথ +কে "= রথকে , "কে "
কর্ম-তৎপুরুষ সমাসের বিভক্তিচিহ্নটি লুপ্ত হয়েছে ।)
( তাহলে দেখা গেল বিভক্তি স্থানীয় অনুসর্গের লোপ, বা বিভক্তি -চিহ্নের লোপ হয়েছে যা তৎপুরুষ সমাস বলে গণ্য হবে ।
কিন্তু মধ্যপদলোপী কর্মধারয়সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যেকার এক বা একাধিক পদের লোপ পেয়েছে ।
যেমন :- বাক্যের মাধ্যমে আলাপ =" বাক্যালাপ "।
দ্বি অধিক দশ = " দ্বাদশ "।
( বাক্য-দুটিতে " মাধ্যমে , অধিক " শব্দ-দুটি পদ ।)
( কিন্তু অনুসর্গ নয় )। তাই এগুলি মধ্যপদলোপী
কর্মধারয় সমাস ।
No comments
THANKS.