করণ কারকের নিয়মাবলী

করণকারক 

কর্তা   যার দ্বারা  বা যার সাহায্যে  কোনো  ক্রিয়া  সম্পাদন করে, তাকে করণকারক বলে ।

যথা :- সে কানে শোনে না   ।
ছেলেরা ফুটবল খেলে    ।
সে  তাস খেলে   । ইত্যাদি 

করণ কারকে বিভক্তি চিহ্ন :-  এ  ( স্থলবিশেষে  য়,য়ে), 
তে ( এতে ), র ( এর)প্রভৃতি বিভক্তি চিহ্নেরব্যবহার হয়।

যথা:- ''বিহঙ্গ বাঁটুলে বিন্ধে লতায় জরিয়া বান্ধে ।''
"আবৃত্তির মাধুর্য  আবৃত্তিকারের  অঙ্গসঞ্চালনে  নয় ।"
এখানে ' বাঁটুলে',   'লতায়'  'এ ',' য় ' বিভক্তি আছে ।
'অঙ্গসঞ্চালনে '  'এ'   বিভক্তি  আছে  ।

"ছুড়িতে  যেন  হাত  কেটো  না ।" "টেক্সিতে এলেম ।"
এখানে  'ছুড়িতে ', ' টেক্সিতে '  'তে'  বিভক্তি  আছে ।

দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক প্রভৃতি  অনুসর্গের প্রয়োগে  করণকারক করা হয়।                                 

যথা:-  ' তিন মাসের বাছুর টির দড়িদিয়ে বেঁধেরেখো না।'                                              
এখানে  'দড়ি দিয়ে'   'দিয়ে'  অনুসর্গের প্রয়োগে করণকারক করা হয়েছে  ।                               


।।করণকারকের  শ্রেণীবিভাগ ।।

(ক )  যন্ত্রাত্মক  করণকারক :-  ক্রিয়াসম্পাদনে  ইন্দ্রিয় গোচর উপায়কে  যন্ত্রাত্মক  করণকারক বলে ।
যথা :- "রঙিন  চশমায়  সবকিছুই  রঙিন  দেখায়।"
"আকাশ  কি ধোঁয়ায়  মলিন  হয়"

এখানে 'রঙিন  চশমা,'   'ধোঁয়ায়'  শব্দ দুটি   ইন্দ্রিয় গোচর উপায়কে যন্ত্রাত্মক করণকারক বলে ।

(খ ) উপায়াত্মক  করণকারক :- ক্রিয়াসম্পাদনের  উপায়টি  ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য  না  হইলে  তাহাকে উপায়াত্মক 
করণকারক বলে  ।                                                
যথা :-  "অন্তর  যাদের  ঘৃণায়  পূর্ণ, তারা  করবে জনকল্যাণ ।"                        
"বক্তৃতার  বাহাদুরিতে  পেট  ভরে  না ।"

এখানে  'ঘৃণায়'  ও  ' বাহাদুরিতে 'শব্দ দুটির  উপায়  
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য   নয়  বলেই  ইহারা  উপায়াত্মক করণকারক বলে ।                                   
(কেহ কেহ এই দুটি  করণকারককে  উপলক্ষণ  বা  লক্ষণাত্মক  করণকারক বলে )

(গ )সমধাতুজ  করণ :- কোনো  ক্রিয়া বা  ক্রিয়াজাত  বিশেষণ   যে  ধাতু থেকে সৃষ্ট করণকারকটিও  যদি  সেই  ধাতুনিষ্পন্ন  হয় তবে  সেই করণকে  সমধাতুজ  করণ  বলে ।                                                       

যথা :- "তুমি আমাদের কী  মায়ার বাঁধনেই না বেঁধেছ ।"
"কী  ব্যথায়  ব্যথিত  সে  আজ।" 
এখানে  ( 'বাঁধনে' বিশেষ্যপদটি এবং  'বেঁধেছ'  ক্রিয়াপদটি  একই  'বাঁধ্  ধাতু থেকে উৎপন্ন )

(ঘ)  করণের  বীপ্সা  :- একই শব্দ যখন একাধিকবার উচ্চারিত হয় তখন তাকে করণের বীপ্সা বলে ।
যথা :-"পুষ্পে  পুষ্পে  ভরা শাখি ।"
"জলে  জলে ভেসে  গেল  দেশটা ।"
"রোগে  রোগে  দেহটা  জীর্ণ  হয়ে গেছে ।"



No comments

THANKS.

মাসি পিসি -----------------------------------জয় গোস্বামী

 মাসি পিসি  জয়   গোস্বামী  ফুল  ছুঁয়ে  যায় চোখের  পাতায়,  জল ছুঁয়ে যায় ঠোঁটে ঘুমপাড়ানি  মাসিপিসি  রাত  থাকতে ওঠে  শুকতারাটি...

Theme images by luoman. Powered by Blogger.