সমাসের শ্রেণীবিভাগ ------তৎপুরুষ সমাস (দ্বিতীয় পর্ব )
সমাসের শ্রেণীবিভাগ ------তৎপুরুষ সমাস
(৬) অ-কারক বা উপকারক-তৎপুরুষ ।-----
পূর্বপদের অ-কারক বা উপকারক-পদটির লোপ হলে অ-কারক -তৎপুরুষ সমাস হয় ।
পূর্বপদের অ-কারক বা উপকারক-পদটির লোপ হলে অ-কারক -তৎপুরুষ সমাস হয় ।
কয়েক প্রকার অ-কারক -তৎপুরুষ সমাস নিম্নে দেওয়া হল ।
(ক) গত, প্রাপ্ত, আপন্ন, আশ্রিত ,আরূঢ়, অতীত প্রভৃতি শব্দযোগেপূর্বপদের'কে'বিভক্তিচিহ্নের লোপ হয় ।
যেমন:- শরণ কে আগত = শরণাগত ;
স্মরণ কে অতীত = স্মরণাতীত ;
সঙ্কট কে আপন্ন = সঙ্কটাপন্ন ;
যৌবন কে প্রাপ্ত = যৌবনপ্রাপ্ত ;
ব্যক্তি কে গত = ব্যক্তিগত ;
বিপদ কে আপন্ন = বিপদাপন্ন ;
স্বর্গ কে প্রাপ্ত = স্বর্গপ্রাপ্ত ;
সাহায্য কে প্রাপ্ত = সাহায্যপ্রাপ্ত ;
মরণ কে আপন্ন = মরণাপন্ন ইত্যাদি ।
( খ ) পূর্বপদের ব্যাপ্ত্যর্থক শব্দটির লোপে--------
যেমন : বিশ্ব ব্যাপিয়া যুদ্ধ = বিশ্বযুদ্ধ
নিত্যকাল ব্যাপিয়া আনন্দ =নিত্যানন্দ
পক্ষ ব্যাপিয়া অশৌচ =পক্ষাশৌচ
চিরকাল ব্যাপিয়া রুগ্ণ = চিররুগ্ ণ ইত্যাদি
নিত্যকাল ব্যাপিয়া আনন্দ =নিত্যানন্দ
পক্ষ ব্যাপিয়া অশৌচ =পক্ষাশৌচ
চিরকাল ব্যাপিয়া রুগ্ণ = চিররুগ্ ণ ইত্যাদি
( গ ) ক্রিয়াবিশেষণবাচক পূর্বপদটির "ভাবে" , "রূপে " অংশটির লোপে ---------
অর্ধভাবে ভাবে মৃত = অর্ধমৃত
আধা রূপে পাকা = আধপাকা
দৃঢ় ভাবে বদ্ধ = দৃঢ়বদ্ধ
নিম (অর্ধ ) রূপে রাজী = নিমরাজী ইত্যাদি ।
অর্ধভাবে ভাবে মৃত = অর্ধমৃত
আধা রূপে পাকা = আধপাকা
দৃঢ় ভাবে বদ্ধ = দৃঢ়বদ্ধ
নিম (অর্ধ ) রূপে রাজী = নিমরাজী ইত্যাদি ।
( ঘ ) ঊন , হীন , শূন্য , রহিত প্রভৃতি অভাবার্থক ও যুক্ত অন্বিত বিশিষ্ট প্রভৃতি যুক্তার্থক শব্দযোগে পূর্বপদের বিভক্তিচিহ্ন ও দ্বারা অনুসর্গের লোপে-------
জনের দ্বারা শূন্য = জনশূন্য ;
পিতার দ্বারা হীন = পিতৃহীন ;
বলের দ্বারা হীন = বলহীন ;
ছটাকের দ্বারা কম = ছটাক-কম ;
নজির দ্বারা হীন = নজিরহীন ইত্যাদি ।
( ঙ ) নিমিত্ত, জন্য , উদ্দেশ্য প্রভৃতি নিমিত্ত বাচক অংশগুলো যখন পূর্বপদে লোপ পায় তখন
নিমিত্ত- তৎপুরুষ সমাস বলে ।
যেমন :- শিশুদের জন্য সাহিত্য = শিশুসাহিত্য ;
জলের জন্য কর = জলকর ;
জপের জন্য মালা = জপমালা ;
ছাত্রদের জন্য আবাস = ছাত্রাবাস ;
মেয়েদের জন্য স্কুল = মেয়েস্কুল ;
( চ ) সম্বন্ধ-তৎপুরুষ :- পূর্বপদের সম্বন্ধের বিভক্তি চিহ্ন 'র' (এর ), ' দেয় ' প্রভৃতি লোপ পাইলে সম্বন্ধ - তৎপুরুষ সমাস বলে ।
যেমন :-জগতের জন্য = জগজ্জন; বিধাতার নন্দন = বিমাতৃনন্দন ;
রাজার ধানী (আবাসস্থল ) = রাজধানী ;
কালীর পদ = কালীপদ;
মহতের প্রাণ = মহাপ্রাণ;
তপের বল = তপোবল ;
গল্পের গুচ্ছ = গল্পগুচ্ছ ;
পাঠের চক্র = পাঠচক্র ;
চন্দ্রের উদয় = চন্দ্রোদয় ইত্যাদি ।
'শ্রেষ্ঠ ' অর্থে রাজা-পদটি ব্যাসবাক্যের শেষের দিকে বসে ।
যেমন :- পথের রাজা = রাজপথ ;
হংসের রাজা = রাজহাঁস ;
মিস্ত্রীদের রাজা =রাজমিস্ত্রী ।
' দাস ' শব্দ পরে থাকিলে কালী, দেবী , চণ্ডী , ষষ্ঠী প্রভৃতি স্ত্রীবাচক শব্দের অন্ত্য ঈ- কার ই-কার হয় ।
যেমন :- কালীর দাস = কালিদাস ;
দেবীর দাস = দেবিদাস ;
ষষ্ঠীর দাস = ষষ্ঠিদাস ইত্যাদি ।
আরোও দুইপ্রকার তৎপুরুষ সমাস আছে -----
উপপদ তৎপুরুষ ও নঞ্-তৎপুরুষ সমাস ।
জনের দ্বারা শূন্য = জনশূন্য ;
পিতার দ্বারা হীন = পিতৃহীন ;
বলের দ্বারা হীন = বলহীন ;
ছটাকের দ্বারা কম = ছটাক-কম ;
নজির দ্বারা হীন = নজিরহীন ইত্যাদি ।
( ঙ ) নিমিত্ত, জন্য , উদ্দেশ্য প্রভৃতি নিমিত্ত বাচক অংশগুলো যখন পূর্বপদে লোপ পায় তখন
নিমিত্ত- তৎপুরুষ সমাস বলে ।
যেমন :- শিশুদের জন্য সাহিত্য = শিশুসাহিত্য ;
জলের জন্য কর = জলকর ;
জপের জন্য মালা = জপমালা ;
ছাত্রদের জন্য আবাস = ছাত্রাবাস ;
মেয়েদের জন্য স্কুল = মেয়েস্কুল ;
( চ ) সম্বন্ধ-তৎপুরুষ :- পূর্বপদের সম্বন্ধের বিভক্তি চিহ্ন 'র' (এর ), ' দেয় ' প্রভৃতি লোপ পাইলে সম্বন্ধ - তৎপুরুষ সমাস বলে ।
যেমন :-জগতের জন্য = জগজ্জন; বিধাতার নন্দন = বিমাতৃনন্দন ;
রাজার ধানী (আবাসস্থল ) = রাজধানী ;
কালীর পদ = কালীপদ;
মহতের প্রাণ = মহাপ্রাণ;
তপের বল = তপোবল ;
গল্পের গুচ্ছ = গল্পগুচ্ছ ;
পাঠের চক্র = পাঠচক্র ;
চন্দ্রের উদয় = চন্দ্রোদয় ইত্যাদি ।
'শ্রেষ্ঠ ' অর্থে রাজা-পদটি ব্যাসবাক্যের শেষের দিকে বসে ।
যেমন :- পথের রাজা = রাজপথ ;
হংসের রাজা = রাজহাঁস ;
মিস্ত্রীদের রাজা =রাজমিস্ত্রী ।
' দাস ' শব্দ পরে থাকিলে কালী, দেবী , চণ্ডী , ষষ্ঠী প্রভৃতি স্ত্রীবাচক শব্দের অন্ত্য ঈ- কার ই-কার হয় ।
যেমন :- কালীর দাস = কালিদাস ;
দেবীর দাস = দেবিদাস ;
ষষ্ঠীর দাস = ষষ্ঠিদাস ইত্যাদি ।
আরোও দুইপ্রকার তৎপুরুষ সমাস আছে -----
উপপদ তৎপুরুষ ও নঞ্-তৎপুরুষ সমাস ।
No comments
THANKS.