কর্তৃকারক
কর্তৃকারক
বাক্য -মধ্যস্থ যে পদ সমাপিকা ক্রিয়ার কাজকে সম্পাদন করে তাকে কর্তৃপদ বলে । এই কর্তৃপদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের যে সম্বন্ধ তাকে কর্তৃকারক বলে ।
কর্তৃকারকই বাক্যর মূল উদ্দেশ্য । কাজ সম্পাদনার
ভিন্নতা হেতু কর্তৃকারক ও বিভিন্ন নামে পরিচিত ।
১ ।প্রযোজক কর্তা:- যখন কর্তা নিজে না করে অন্যকে দিয়ে কাজে প্রবৃত্ত করান তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে ।
যথা :-'শিক্ষক মহাশয় ছাত্রকে পড়ান '।
এখানে শিক্ষক নিজে পড়েন না, ছাত্রকে পড়ার কাজে প্রবৃত্ত করান । শিক্ষক মহাশয় প্রযোজক কর্তা ।
২ । প্রযোজ্য কর্তা :- প্রযোজক কর্তা যাকে দিয়ে কাজটা করান , তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে ।
যথা :-' মাতা শিশুকে চাঁদ দেখান '।এখানে শিশু চাঁদ
দেখলেও মাতা দেখার কাজে প্রযোজনা করেছেন ।
তাই 'শিশুটি ' প্রযোজ্য কর্তা ।
৩ । অনুক্ত কর্তা :- কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের কর্তা
প্রধানরূপে উক্ত হয় না বলে সেই কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে ।
যথা :- কর্মবাচ্যে :আমার দ্বারা এ কাজ হবে না ।
ভাববাচ্যে :আপনার থাকা হয় কোথায় ?
৪ ।নিরপেক্ষ কর্তা :-একই বাক্যে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা ভিন্ন হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে ।
যথা :- "তুমি মাতৃহীন হইলে আমি তোমায় প্রতিপালন করিয়াছিলাম " ।
এই বাক্যে ' হইলে ' অসমাপিকা ক্রিয়াটির কর্তা 'তুমি' --নিরপেক্ষ কর্তা কিন্তু "করিয়াছিলাম " সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা ' আমি ' ।
৫ । ব্যতিহার কর্তা :- যখন কোন বাক্যে ভিন্ন ভিন্ন কর্তার পরস্পর একজাতীয় ক্রিয়া বোঝায়,তখন সেই ক্রিয়ার কর্তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে ।
যথা:- " রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে "।
এখানে একাধিক রাজা মিলে যুদ্ধ করছে ।'কর্তা ' একাধিক রাজা, আর 'ক্রিয়া' হল যুদ্ধ করা -একইধরনের কাজ ।এই ধরনের
কর্তাকে ব্যতিহার কর্তা বলে ।
৬ । উহ্য কর্তা :- যখন কোনো বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাটি উহ্য থাকে, কিন্তু ক্রিয়াপদটির রূপ অনুসারে কর্তা নিরুপন করা যায় ,তখন সেই কর্তাকে উহ্য -কর্তা বলে ।
যথা:-"এখনি লিখে ফেলছি "
---এই বাক্যে কর্তা 'আমি' উহ্য আছে ।(সাধারণত উত্তম পুরুষ ও মধ্যম পুরুষ কর্তা হিসেবে উহ্য রাখা যায় ) ।
৭ । সমধাতুজ কর্তা :- যখন কোনো বাক্যের কর্তৃপদ ও ক্রিয়াপদ একই ধাতু থেকে উৎপন্ন হয় তখন সেই ক্রিয়াপদের কর্তাকে সমধাতুজ কর্তা বলে ।
যথা:-" পড়ুয়ারা একমনে পড়ছে "
এখানে 'পড়্' ধাতু থেকে পড়ুয়ারা শব্দটি সৃষ্টি হয়েছে ।
৮ । অনির্দিষ্ট কর্তা :- অনেক সময় বাক্যের কর্তা বিশেষ কোনো ব্যক্তি, প্রাণী অথবা বস্তু না হয়ে সাধারণ বা অনির্ধারিত হতে পারে ।এরূপ কর্তাকে বলে অনির্দিষ্ট কর্তা ।
যথা :-' লোকে বলে' , 'গাছে ফুল ফোটে '।
এখানে লোকে,ও গাছে অনির্দিষ্ট কর্তা ।
বাক্য -মধ্যস্থ যে পদ সমাপিকা ক্রিয়ার কাজকে সম্পাদন করে তাকে কর্তৃপদ বলে । এই কর্তৃপদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের যে সম্বন্ধ তাকে কর্তৃকারক বলে ।
কর্তৃকারকই বাক্যর মূল উদ্দেশ্য । কাজ সম্পাদনার
ভিন্নতা হেতু কর্তৃকারক ও বিভিন্ন নামে পরিচিত ।
১ ।প্রযোজক কর্তা:- যখন কর্তা নিজে না করে অন্যকে দিয়ে কাজে প্রবৃত্ত করান তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে ।
যথা :-'শিক্ষক মহাশয় ছাত্রকে পড়ান '।
এখানে শিক্ষক নিজে পড়েন না, ছাত্রকে পড়ার কাজে প্রবৃত্ত করান । শিক্ষক মহাশয় প্রযোজক কর্তা ।
২ । প্রযোজ্য কর্তা :- প্রযোজক কর্তা যাকে দিয়ে কাজটা করান , তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে ।
যথা :-' মাতা শিশুকে চাঁদ দেখান '।এখানে শিশু চাঁদ
দেখলেও মাতা দেখার কাজে প্রযোজনা করেছেন ।
তাই 'শিশুটি ' প্রযোজ্য কর্তা ।
৩ । অনুক্ত কর্তা :- কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের কর্তা
প্রধানরূপে উক্ত হয় না বলে সেই কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে ।
যথা :- কর্মবাচ্যে :আমার দ্বারা এ কাজ হবে না ।
ভাববাচ্যে :আপনার থাকা হয় কোথায় ?
৪ ।নিরপেক্ষ কর্তা :-একই বাক্যে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা ভিন্ন হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে ।
যথা :- "তুমি মাতৃহীন হইলে আমি তোমায় প্রতিপালন করিয়াছিলাম " ।
এই বাক্যে ' হইলে ' অসমাপিকা ক্রিয়াটির কর্তা 'তুমি' --নিরপেক্ষ কর্তা কিন্তু "করিয়াছিলাম " সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা ' আমি ' ।
৫ । ব্যতিহার কর্তা :- যখন কোন বাক্যে ভিন্ন ভিন্ন কর্তার পরস্পর একজাতীয় ক্রিয়া বোঝায়,তখন সেই ক্রিয়ার কর্তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে ।
যথা:- " রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে "।
এখানে একাধিক রাজা মিলে যুদ্ধ করছে ।'কর্তা ' একাধিক রাজা, আর 'ক্রিয়া' হল যুদ্ধ করা -একইধরনের কাজ ।এই ধরনের
কর্তাকে ব্যতিহার কর্তা বলে ।
৬ । উহ্য কর্তা :- যখন কোনো বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাটি উহ্য থাকে, কিন্তু ক্রিয়াপদটির রূপ অনুসারে কর্তা নিরুপন করা যায় ,তখন সেই কর্তাকে উহ্য -কর্তা বলে ।
যথা:-"এখনি লিখে ফেলছি "
---এই বাক্যে কর্তা 'আমি' উহ্য আছে ।(সাধারণত উত্তম পুরুষ ও মধ্যম পুরুষ কর্তা হিসেবে উহ্য রাখা যায় ) ।
৭ । সমধাতুজ কর্তা :- যখন কোনো বাক্যের কর্তৃপদ ও ক্রিয়াপদ একই ধাতু থেকে উৎপন্ন হয় তখন সেই ক্রিয়াপদের কর্তাকে সমধাতুজ কর্তা বলে ।
যথা:-" পড়ুয়ারা একমনে পড়ছে "
এখানে 'পড়্' ধাতু থেকে পড়ুয়ারা শব্দটি সৃষ্টি হয়েছে ।
৮ । অনির্দিষ্ট কর্তা :- অনেক সময় বাক্যের কর্তা বিশেষ কোনো ব্যক্তি, প্রাণী অথবা বস্তু না হয়ে সাধারণ বা অনির্ধারিত হতে পারে ।এরূপ কর্তাকে বলে অনির্দিষ্ট কর্তা ।
যথা :-' লোকে বলে' , 'গাছে ফুল ফোটে '।
এখানে লোকে,ও গাছে অনির্দিষ্ট কর্তা ।
No comments
THANKS.