মদনভষ্মের পর ----------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মদনভষ্মের পর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পঞ্চশরে দগ্ধ করে করেছ এ কী সন্যাসী,
বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে ।
ব্যাকুলতর বেদনা তার বাতাসে উঠে নিশ্বাসি
অশ্রু তার আকাশে পড়ে গড়ায়ে ।
ভরিয়া উঠে নিখিল ভব রতি-বিলাপ-সংগীতে
সকল দিক কাঁদিয়া উঠে আপনি ।
ফাগুন মাসে নিমেষ-মাঝে না জানি কার ইঙ্গিতে
শিহরি উঠি মুরছি পড়ে অবনী ।
আজিকে তাই বুঝিতে নারি কিসের বাজে যন্ত্রনা
হৃদয়-বীণাযন্ত্রে মহা পুলকে,
তরুনী বসি ভাবিয়া মরে কী দেয় তারে মন্ত্রণা
মিলিয়া সবে দ্যুলোকে আর ভূলোকে ।
কী কথা উঠে মর্মরিয়া বকুল-তরু-পল্লবে,
ভ্রমর উঠে গুঞ্জরিয়া কী ভাষা ।
ঊর্ধ্বমুখে সূর্যমুখী স্মরিছে কোন্ বল্লভে,
নির্ঝরিণী বহিছে কোন্ পিপাসা ।
বসন কার দেখিতে পাই জ্যোৎস্নালোকে লুণ্ঠিত
নয়ন কার নীরব নীল গগনে ।
বদন কার দেখিতে পাই কিরণে অবগুণ্ঠিত
চরণ কার কোমল তৃণশয়নে।
পরশ কার পুষ্পবাসে পরান মন উল্লাসি
হৃদয়ে উঠে লতার মতো জড়ায়ে,
পঞ্চশরে ভস্ম করে করেছ এ কী সন্যাসী,
বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে ।
(----------"কল্পনা ")
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৪
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পঞ্চশরে দগ্ধ করে করেছ এ কী সন্যাসী,
বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে ।
ব্যাকুলতর বেদনা তার বাতাসে উঠে নিশ্বাসি
অশ্রু তার আকাশে পড়ে গড়ায়ে ।
ভরিয়া উঠে নিখিল ভব রতি-বিলাপ-সংগীতে
সকল দিক কাঁদিয়া উঠে আপনি ।
ফাগুন মাসে নিমেষ-মাঝে না জানি কার ইঙ্গিতে
শিহরি উঠি মুরছি পড়ে অবনী ।
আজিকে তাই বুঝিতে নারি কিসের বাজে যন্ত্রনা
হৃদয়-বীণাযন্ত্রে মহা পুলকে,
তরুনী বসি ভাবিয়া মরে কী দেয় তারে মন্ত্রণা
মিলিয়া সবে দ্যুলোকে আর ভূলোকে ।
কী কথা উঠে মর্মরিয়া বকুল-তরু-পল্লবে,
ভ্রমর উঠে গুঞ্জরিয়া কী ভাষা ।
ঊর্ধ্বমুখে সূর্যমুখী স্মরিছে কোন্ বল্লভে,
নির্ঝরিণী বহিছে কোন্ পিপাসা ।
বসন কার দেখিতে পাই জ্যোৎস্নালোকে লুণ্ঠিত
নয়ন কার নীরব নীল গগনে ।
বদন কার দেখিতে পাই কিরণে অবগুণ্ঠিত
চরণ কার কোমল তৃণশয়নে।
পরশ কার পুষ্পবাসে পরান মন উল্লাসি
হৃদয়ে উঠে লতার মতো জড়ায়ে,
পঞ্চশরে ভস্ম করে করেছ এ কী সন্যাসী,
বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে ।
(----------"কল্পনা ")
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৪
No comments
THANKS.